বিস্মরণ
ভুলে যাও যন্ত্রণা
যা তুমি অন্যদের দিয়েছো
ভুলে যাও সেই যন্ত্রণা
যা দিয়েছে অন্যেরা,
নদী বয়ে চলে অবিরাম
ঝিক্ মিক্
ঝর্ণার জল ,
তুমি হাঁটতে হাঁটতে ভুলে
যাচ্ছো পৃথিবীর কথা/
মাঝে মাঝে তুমি শুনতে
পাও
গানের মধ্যে বারবার ফিরে
আসা পঙতিগুলি/
প্রশ্ন জাগে - কি এর
অর্থ ?
কে গাইছে গান?
একটা আদুরে সূর্য উষ্ণ
হতে থাকে
জন্ম নিচ্ছে
উত্তরাধিকারীরা
তোমাকে আবার
হাত ধরে পথ দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে/
তোমার সাথে জড়িয়ে আছে
নদীর নামগুলি
কতই না সীমাহীন সেইসব
স্রোতধারা!
পড়ে আছে তোমার চষা মাঠ
শহরের মিনারগুলি আর আগের
মত মনে হয় না/
বোবার মত তুমি দাঁড়িয়ে
থাকো চৌকাঠের উপর ।/
হতাশার অন্ধকারে
সন্দেহর ধূসরতাও হতাশার
অন্ধকারে
আমি খসড়া আকারে লিখেছি
পৃথিবী ও বাতাসের
স্তোত্রগুলি
ভান করেছি আনন্দের
যদিও তা ছিল না আমার
তাই প্রশ্ন জাগে--কে তার
উত্তর দেবে
সে কি সাহসী কেউ বা কোন
ভন্ড?
জানালা
ভোরে আমি জানালা দিয়ে
তাকালাম
একটি যুবতী আপেল গাছ
উজ্জ্বলতায় দৃশ্যমান/
আবার এক ভোরে দেখলাম
ফলভারে ঝুলে পড়া আপেল
গাছটি দাঁড়িয়ে আছে/
অনেকগুলি বছর হয়তো কেটে
গেছে কিন্তু আমার কিছুই মনে নেই ঘুমের মধ্যে কি ঘটেছিল।
আমার না
সারা জীবন ভান করে গেছি
তাদের জগতটাই আমার/
এবং জেনেছি এরকম ভান করা
অশোভন।
কিন্তু আমি কি করতে
পারি?ধর হঠাৎ আমি চিৎকার করে উঠলাম/
এবং ভবিষ্যত বাণী আওড়াতে
লাগলাম।কেউ আমার কথা শুনতে পেল না /
তাদের মঞ্চের পর্দা ও
মাইক্রোফোন সেগুলির জন্য নয়/
আমার মত অন্যেরাও
রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে উদ্দেশ্যহীনভাবে/
এবং তারা তাদের মধ্যে
কথা বলাবলি করে
পার্কের বেঞ্চে/
অথবা ফুটপাথে শুয়ে থাকে
সারি সারি।কেননা সব গরিবদের খাঁচাবন্দী করে রাখার মত পর্যাপ্ত জেলখানা নেই।আমি
মুচকি হাসলাম ও চুপ করে রইলাম।
তারা এখন আর আমার নাগাল
পাবে না
নির্বাচিতদের নিয়ে ভোজ
সারতে আমি ভালই পারি।
No comments:
Post a Comment