Saturday, October 13, 2018

কবিতা - চেশোয়াব মিউজ (অনুবাদ- তুলসীদাস ভট্টাচার্য)





বিস্মরণ

ভুলে যাও যন্ত্রণা 
যা তুমি অন্যদের দিয়েছো
ভুলে যাও সেই যন্ত্রণা 
যা দিয়েছে অন্যেরা,
নদী বয়ে চলে অবিরাম
ঝিক্ মিক্  ঝর্ণার জল ,
তুমি হাঁটতে হাঁটতে ভুলে যাচ্ছো পৃথিবীর কথা/

মাঝে মাঝে তুমি শুনতে পাও
গানের মধ্যে বারবার ফিরে আসা পঙতিগুলি/
প্রশ্ন জাগে - কি এর অর্থ ?
কে গাইছে গান? 
একটা আদুরে সূর্য উষ্ণ হতে থাকে
জন্ম নিচ্ছে উত্তরাধিকারীরা
তোমাকে আবার  হাত ধরে পথ দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে/
তোমার সাথে জড়িয়ে আছে নদীর নামগুলি 
কতই না সীমাহীন সেইসব স্রোতধারা!

পড়ে আছে তোমার চষা মাঠ 
শহরের মিনারগুলি আর আগের মত মনে হয় না/
বোবার মত তুমি দাঁড়িয়ে থাকো চৌকাঠের উপর ।/

হতাশার অন্ধকারে 

সন্দেহর ধূসরতাও হতাশার অন্ধকারে 
আমি খসড়া আকারে লিখেছি
পৃথিবী ও বাতাসের স্তোত্রগুলি 
ভান করেছি আনন্দের 
যদিও তা ছিল না আমার 

তাই প্রশ্ন জাগে--কে তার উত্তর দেবে 
সে কি সাহসী কেউ বা কোন ভন্ড? 

জানালা

ভোরে আমি জানালা দিয়ে তাকালাম
একটি যুবতী আপেল গাছ উজ্জ্বলতায় দৃশ্যমান/

আবার এক ভোরে দেখলাম
ফলভারে ঝুলে পড়া আপেল গাছটি দাঁড়িয়ে আছে/

অনেকগুলি বছর হয়তো কেটে গেছে কিন্তু আমার কিছুই মনে নেই ঘুমের মধ্যে কি ঘটেছিল।


আমার না 

সারা জীবন ভান করে গেছি তাদের জগতটাই আমার/
এবং জেনেছি এরকম ভান করা অশোভন।
কিন্তু আমি কি করতে পারি?ধর হঠাৎ আমি চিৎকার করে উঠলাম/
এবং ভবিষ্যত বাণী আওড়াতে লাগলাম।কেউ আমার কথা শুনতে পেল না /
তাদের মঞ্চের পর্দা ও মাইক্রোফোন সেগুলির জন্য নয়/
আমার মত অন্যেরাও রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে উদ্দেশ্যহীনভাবে/
এবং তারা তাদের মধ্যে কথা বলাবলি করে
পার্কের বেঞ্চে/
অথবা ফুটপাথে শুয়ে থাকে সারি সারি।কেননা সব গরিবদের খাঁচাবন্দী করে রাখার মত পর্যাপ্ত জেলখানা নেই।আমি মুচকি হাসলাম ও চুপ করে রইলাম।

তারা এখন আর আমার নাগাল পাবে না 
নির্বাচিতদের নিয়ে ভোজ সারতে আমি ভালই পারি।
ছে
























No comments:

Post a Comment

একঝলকে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে