সিলভিয়া
প্লাথ
২৭ শে অক্টোবর, ১৯৩২ সালে ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনে জন্মগ্রহণ করেন আমেরিকান কবি, ঔপন্যাসিক এবং ছোটগল্প লেখক সিলভিয়া প্লাথ। কবি ও লেখক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পূর্বেই স্মিথ কলেজ, নিউনহাম কলেজ এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার শিক্ষা সম্পন্ন হয়। সিলভিয়া ১৯৫৬ সালে তার সমসাময়িক কবি টেড হিউজেকে বিয়ে করেছিলেন। তাদের দুই সন্তান ফ্রায়েডা হাজেস এবং নিকোলাস হাজেস।
মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি পিতৃহীন হয়েছিলেন। সেই থেকে ঈশ্বরের প্রতি আর বিশ্বাস রাখতে পারেননি। বিষাদ আর হতাশার শুরু সেখান থেকেই।
প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি অবসাদ আর বিষন্নতায় ভুগতেন।
যে বছর কবি প্রথমবার মা হন, সে বছরই প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'The Colossus'। তাঁর রচিত শিশুতোষ বইগুলোর মধ্যে রয়েছে 'The Bed Book', 'Mrs. Cherry's Kitchen', 'Collected Children's Stories' ইত্যাদি। প্লাথের রচিত শেষ কবিতা সংকলন 'Ariel' নামে প্রকাশিত হয় তাঁর মৃত্যুর পরে, ১৯৬৫ সালে। এই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত 'Daddy' এবং 'Lady Lazarus' এর মতো অসাধারণ কবিতাগুলো তাঁকে এনে দেয় জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মাননাগুলো। প্রথম ব্যক্তি হিসাবে তিনি মরণোত্তর সাহিত্যে পুলিৎজার পুরস্কার ভূষিত হন।
১১ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৩ সালে মাত্র ৩০ বছর বয়সে এক সম্ভাবনার অবসান ঘটে। কবি আত্মহত্যা করেন। যদিও তার জীবন এবং মৃত্যু, সেইসাথে তাঁর লেখা এবং উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে এখনো বিতর্ক চলছে।
২৭ শে অক্টোবর, ১৯৩২ সালে ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনে জন্মগ্রহণ করেন আমেরিকান কবি, ঔপন্যাসিক এবং ছোটগল্প লেখক সিলভিয়া প্লাথ। কবি ও লেখক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পূর্বেই স্মিথ কলেজ, নিউনহাম কলেজ এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার শিক্ষা সম্পন্ন হয়। সিলভিয়া ১৯৫৬ সালে তার সমসাময়িক কবি টেড হিউজেকে বিয়ে করেছিলেন। তাদের দুই সন্তান ফ্রায়েডা হাজেস এবং নিকোলাস হাজেস।
মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি পিতৃহীন হয়েছিলেন। সেই থেকে ঈশ্বরের প্রতি আর বিশ্বাস রাখতে পারেননি। বিষাদ আর হতাশার শুরু সেখান থেকেই।
প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি অবসাদ আর বিষন্নতায় ভুগতেন।
যে বছর কবি প্রথমবার মা হন, সে বছরই প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'The Colossus'। তাঁর রচিত শিশুতোষ বইগুলোর মধ্যে রয়েছে 'The Bed Book', 'Mrs. Cherry's Kitchen', 'Collected Children's Stories' ইত্যাদি। প্লাথের রচিত শেষ কবিতা সংকলন 'Ariel' নামে প্রকাশিত হয় তাঁর মৃত্যুর পরে, ১৯৬৫ সালে। এই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত 'Daddy' এবং 'Lady Lazarus' এর মতো অসাধারণ কবিতাগুলো তাঁকে এনে দেয় জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মাননাগুলো। প্রথম ব্যক্তি হিসাবে তিনি মরণোত্তর সাহিত্যে পুলিৎজার পুরস্কার ভূষিত হন।
১১ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৩ সালে মাত্র ৩০ বছর বয়সে এক সম্ভাবনার অবসান ঘটে। কবি আত্মহত্যা করেন। যদিও তার জীবন এবং মৃত্যু, সেইসাথে তাঁর লেখা এবং উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে এখনো বিতর্ক চলছে।
চাঁদ ও গীর্জার গাছটি
এ শীতল শূন্যতার মাঝে
গীর্জার গাছটা কালো হয়ে আছে। চারদিকে ঘননীল,
আমাকে ঈশ্বর ভেবে,পায়ে পায়ে ঘাসেরা বিছিয়ে দেয় শোক
যে ব্যথা বিঁধেছে নরম পাতায়, চুপিসারে মাথানত করে
কোলাহলমুখর ধোঁয়াটে কুয়াশায়
বহু বহু দূরে কবরের শীর্ষ প্রস্তর থেকে
দেখা যায় না আর কিছুই
চাঁদে দরজা নেই কোন, দুর্ভেদ্য রুদ্ধতা
ভয়ানক ফ্যাকাশে আঙুল
তীব্র যন্ত্রণায়, সমুদ্রের আরও কাছে
শান্ত
শিথিল হয়ে আছে।
হতাশার মুখে হাঁ করে থাকি
রবিবারে দুবার, আকাশে আটবার
ঘন্টাধ্বনি শুনি। চমকে উঠি। আলোর সন্ধানে
কেউ ঠিক পরিচয় খুঁজে নেবে
গাছটি গীর্জার মতো গথিক আঙ্গিকে
চেয়ে আছে উঁচু ওই চাঁদটির দিকে।
চাঁদ তো মা আমার। তবে কিনা মাতা মেরী নন।
তার নীল কাপতান থেকে শুধু ছোটছোট
বাদুড় আর পেঁচাদের ঝাঁক
কী করে বিশ্বাস করি বলো, কোন এক নমনীয় ভোরে-----
মোমবাতি ছোঁয়া কোমলতায়
ঝুঁকে দেখছে, নরম চোখ দুটি...
দীর্ঘ পথ আমি হেঁটে যাই, প্রস্ফুটিত মেঘে
ঘন বিভ্রমে নক্ষত্ররাজি আর
গীর্জার ভেতর ধ্যানমগ্ন ঋষিগণ
পবিত্র কঠোর অস্ফুটে...
চাঁদ, দেখে না আর কিছুই
মলিন নিঃস্ব এক শরীর,
গীর্জার প্রাঙ্গনে সেই গাছ,
কালো হতে হতে,
ক্রমশ ডুবে যায় মৃত্যুর নাভিদেশে...
হতাশার মুখে হাঁ করে থাকি
রবিবারে দুবার, আকাশে আটবার
ঘন্টাধ্বনি শুনি। চমকে উঠি। আলোর সন্ধানে
কেউ ঠিক পরিচয় খুঁজে নেবে
গাছটি গীর্জার মতো গথিক আঙ্গিকে
চেয়ে আছে উঁচু ওই চাঁদটির দিকে।
চাঁদ তো মা আমার। তবে কিনা মাতা মেরী নন।
তার নীল কাপতান থেকে শুধু ছোটছোট
বাদুড় আর পেঁচাদের ঝাঁক
কী করে বিশ্বাস করি বলো, কোন এক নমনীয় ভোরে-----
মোমবাতি ছোঁয়া কোমলতায়
ঝুঁকে দেখছে, নরম চোখ দুটি...
দীর্ঘ পথ আমি হেঁটে যাই, প্রস্ফুটিত মেঘে
ঘন বিভ্রমে নক্ষত্ররাজি আর
গীর্জার ভেতর ধ্যানমগ্ন ঋষিগণ
পবিত্র কঠোর অস্ফুটে...
চাঁদ, দেখে না আর কিছুই
মলিন নিঃস্ব এক শরীর,
গীর্জার প্রাঙ্গনে সেই গাছ,
কালো হতে হতে,
ক্রমশ ডুবে যায় মৃত্যুর নাভিদেশে...
No comments:
Post a Comment