অল্ব্যর কম্যু
মানুষের তালিকা থেকে নাম-কাটা–যাওয়া মানুষ
গতকাল ৫৭ জন কয়েদীকে অ্যাল্জিরিয়া থেকে পাঠানো হল দূরের
বন্দীশিবিরে
১লা ডিসেম্বর,১৯৩৮
‘সাদা জাহাজ’ নামে সকলের পরিচিত ‘ল্য মার্তিনিয়র’-এর রঙ আসলে ধূসর । আকারে দীর্ঘ ও প্রশস্ত,
জাহাজটির ওজন ৩,৮৭১ টন হলেও তাকে কার্যত
খালি মনে হয়; কারণ, তার খোলে সে
বহন করে মাত্র একরকম সামগ্রী, যা বিশেষ জায়গা দখল করে না
। কার্গো ততটাই, যতটা তার জন্য ধার্য করা হয়েছে, যা প্রকৃতপক্ষে সামান্যই ।
জাহাজ এসে পৌঁছল মঙ্গলবার বেলা দশটায়, অ্যাট্লান্টিক–এ ঝড়ের মুখে প’ড়ে কিছুটা দেরি হয়েছিল,হাওয়া আর বৃষ্টির দাপটে আরও কিছু দেরি হল অ্যাল্জিয়ার্স্ বন্দরে
প্রবেশের সময়ে । ডেক্-এ ৫৫ জন ক্রু, আর
যাত্রী ৪১ জন, যারা সকলেই রক্ষী, এখন বন্দীশিবিরে ফিরে যাচ্ছে । আর রয়েছে, খোলে,
সাঁ–মার্তঁ–দ্য-রে( Saint-Martin-de-Re) থেকে নিয়ে-আসা ৬০৯ জন কয়েদী ।
বন্দরের ট্র্যাফিক-কর্তৃপক্ষের লাল আলোয় ‘ল্য মার্তিনিয়র’ থেমে রয়েছে, এলোমেলো ঘুরপাক-খাওয়া ঢেউয়ের
ধাক্কায় জাহাজটা সামান্য ওপর-নিচ করছে, মুখ শহরের দিকে
ফেরানো, বৃষ্টির ছাঁটের ওড়নার আড়ালে ঝাপসা, অস্পষ্ট। হাওয়ার প্রবল বেগে রক্ষীদের সামনের দিকে ঝুঁকে প’ড়ে হাঁটতে হচ্ছে, কোমরের বেল্টে হাত, সেখান থেকে ঝুলছে তাদের সার্ভিস রিভলভার । ডেক্ তবু যেন জনশূন্য,
পরিত্যক্ত; হাঁটা-চলার সরু পথে কারুর
চলাচল চোখে পড়ছে না,নেই কোনও হাসি-মস্করা,বাতাস ভারি হয়ে রয়েছে নিঃসঙ্গতা আর হতাশায়।
পাটাতনের নিচে যাদের জীবন্ত উপস্থিতি, অশুভ ও
নিরাশাব্যঞ্জক, তাদের জন্যই বোধহয়,
তা আরও তীব্র মাত্রায় অনুভূত হচ্ছে ।
কোনও কিছুই এই অনুভতি মুছে ফেলতে পারছে না
। জাহাজের পরিচ্ছন্নতা,
অফিসারদের সদ্য পাট-ভাঙা ইয়ুনিফর্ম, রক্ষীদের
অভিবাদন, আপ্রাণ চেষ্টা ক’রেও এই
ভাব, বিশ্বসংসার থেকে সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে যাওয়ার এই বোধ,
যা প্রায়-পরিত্যক্ত ওই জাহাজটার ঝড়োবাতাস-মথিত ডেক-এ ভারি হয়ে
ঝুলে রয়েছে, মুছে ফেলতে পারছে না। অন্য জাহাজের ক্ষেত্রে
যেমন দেখা যায়, ওই জাহাজকে অভ্যর্থনা জানাবার জন্য কোনও
ক্ষুদ্র জলযান ফগহর্ন বাজাতে-বাজাতে এগিয়ে আসছে না।
একটি ভাসমান কারাগার
জাহাজের খোলে নেমে যাওয়ার জন্য যে
পায়ে-চলা পথ আছে, সেখানে বন্দুকধারী এক
রক্ষী পাহারারত, আমি সেদিকেই এগিয়ে চলি । রক্ষীর সঙ্গে দু’-এক কথায় সৌজন্য বিনিময় করার সময়ে শুনতে
পেলাম বেসুরো, চাপা এক কোলাহল
মাঝে-মাঝে খোলের তল থেকে উঠে আসছে, এমন এক
শ্বাস-প্রশ্বাস যা মানুষের ব’লে মনে হয় না । ওই নিচে, কয়েদীরা
।
নিচে খোলের ভিতরে যখন তাকালাম, অন্ধকার ছাড়া কিছুই গোচর হল না,
অন্ধকার থেকে সিঁড়ির ধাপ ওপরে উঠে এসেছে। অন্ধকারে নিজের
দৃষ্টিকে সচল হতে দেওয়ার জন্য নিচে নেমে প্রথমেই কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম । ক্রমে,
খোলের মাঝামাঝি জায়গায় এসে পড়া আলোর প্রতিবিম্ব থেকে সারিবদ্ধ
গামলা আর ট্রে ঠাহর করতে পারলাম, তারপর আমার দিকে
এগিয়ে-আসা আরেক রক্ষীর রাইফেলের ওপর এসে-পড়া আলোর অস্পষ্ট আভা, তারও পরে, খোলের ধার দিয়ে এগিয়ে-চলা লম্বা
রেলিং ; রেলিং ধ’রে থাকা মানুষদের হাত অন্ধকারে ধীরে-ধীরে ফুটে উঠতে লাগল ।
ওপর থেকে এতক্ষণ যে আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম
তা এখন থেমেছে । এখন বুঝতে পারছি, খোলের আকার একটা আয়তক্ষেত্র, দু’প্রান্তের লম্বা রেলিং দু’টি খাঁচা চিহ্নিত করছে, প্রতিটি, দশ মিটার লম্বা,পাঁচ মিটার চওড়া ।
একজন রক্ষী আমায় জানাল, প্রতিটি খাঁচায় ৯০ থেকে ১০০ জন কয়েদী
রাখা যায়। আলোবাতাস প্রবেশের জন্য খোলের দু’পাশে চারটে ক’রে, মোট আটটি গোলাকার ছিদ্র (পোর্টহোল) আছে,
কিন্তু এত উঁচুতে তারা অবস্থিত যে, আলো
এসে প্রবেশ করে খোলের মধ্যাঞ্চলে,আর, কয়েদীরা সব রয়ে যায় কোণে, আধো-অন্ধকারে,
তাদের মুখাবয়ব স্পষ্ট দেখা যায় না ।
প্রতিটি খাঁচার ছাদে একটি গোল ছিদ্র
আছে, সেটি আবার বর্তমানে
বন্ধ একটি ভ়াল্ভ়ের সঙ্গে যুক্ত । আমি জানতে পারলাম, দাঙ্গা বাধলে, ভ়াল্ভ় সক্রিয় ক’রে ওই ছিদ্র দিয়ে কয়েদীদের
ওপর জল-ফোটানো বাষ্পের ফোয়ারা খোলার ব্যবস্থা আছে । খাঁচার ওই প্রান্তে, দুটো ছোট শক্তপোক্ত দরজা,সেখান দিয়ে
দুটো ক্ষুদ্র বন্দীকক্ষে প্রবেশ করা যায়, প্রতিটির আয়তন
মাত্র এক বর্গ মিটার, এগুলি বিশেষ শাস্তিপ্রদানের সময়ে
কাজে লাগানো হয় ।
ঢেউয়ের প্রভাবে জাহাজটা অল্প দুলতে লাগল, একটা খাঁচা থেকে আলো স’রে, গিয়ে পড়ল অন্য খাঁচায় । একটা বড় দোল খেতেই
আমি কয়েদীদের এক ঝলক দেখতেও পেলাম । জাহাজ যখন দুলছে, আলো
একবার তাদের পরিত্যাগ করছে, তারপর ফিরে আসছে,পরে আবার তাদের পরিত্যাগ করার জন্যই বোধহয়, ফিরে
আসছে ক্ষণিকের জন্য। অবয়বহীন,শ্বাসপ্রশ্বাসময়,
সদাগুঞ্জনরত ওই কুণ্ডলীর ভিতর থেকে মানুষ শনাক্ত করতে আমার
কিছুটা সময় লাগে ।
ক্রমে আলো ফিরে আসে, আমার পরিচিত জগতের চিহ্নগুলোর সঙ্গে
তাদের মুখাবয়বের সাদৃশ্য খুঁজে চলি । কিন্তু খোলের ভিতরের রাত্রি তাদের
ঢেকে ফেলে আবার, আমার কাছে তারা
আত্মপরিচয়হীন, উদ্বেগপূর্ণ ছায়ামূর্তির কুণ্ডলী ব্যতীত
অন্য কিছু নয় ।
সেই সরু পায়ে-চলা পথ দিয়ে আমি ফিরে চলি ।
ফিরে তাকাই না । ওপরের ডেক-এর সমান লম্বা পথটুকু পার হয়ে খোলের পিছনের দিকে চ’লে আসি । এখানে
আলো কিছুটা বেশি । খাঁচাগুলোও অপেক্ষাকৃত ছোট । একটা খাঁচা সম্পূর্ণ ফাঁকা,
আজ দুপুরে যে কয়েদীদের জাহাজে তোলা হবে, তাদের জন্য অপেক্ষারত ।
অন্য খাঁচায় বন্দী মানুষগুলো কেউ রেলিঙের
ওপরে ব’সে, কেউ রেলিঙে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । আমাকে লক্ষ করছে কেউ-কেউ । অন্য কেউ-কেউ আমাকে দেখে হাসছে, কনুই দিয়ে এ-ওর গা ঠেলছে, কেউ সম্পূর্ণ
ভাবলেশহীন চোখ মেলে আমাকে অনুসরণ করছে, আবার অন্য কেউ ঘাড়
গুঁজে নিজের দু’হাতের দিকে অপলক
দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তিনজন আরব-কে দেখলাম, খোলের গায়ে যে
গোলাকার ছিদ্র (পোর্টহোল) আছে , তার কানা ধ’রে ঝুলে প’ড়ে ক্ষণিকের জন্য অ্যাল্জিয়ার্স্
দেখার চেষ্টা করছে । তাদের কমরেডদের কাছে এ এক অন্য দেশ,যা,
এখন, অন্য এক পৃথিবীরও, কিন্তু বৃষ্টিপাতের ভিতর দিয়ে দূরে তাকিয়ে থাকা এই তিনজন, এখনও হারিয়ে-যাওয়া নিজেদের কোনও অংশ খুঁজে চলেছে ব’লে মনে হচ্ছিল। এখানে উপস্থিত থাকার জন্য আমি গৌরবান্বিত বোধ
করছি না ।
আমার রেনকোট ভিজে গেছে, এই তিনজনের কাছে ওই বৃষ্টি কি বার্তা
বহন ক’রে নিয়ে আসছে, আমি বিলক্ষণ
জানি : এমন
এক পৃথিবীর সৌরভ ভেসে আসছে, মানুষ যেখানে মুক্ত,
চলতে গেলে যেখানে মুখের ’পরে বাতাস বয়ে যায় । ওই বার্তা বয়ে আনার এটা উপযুক্ত স্থান নয়
। এখানে অন্য আরও মানুষ আছেন, যাঁরা রেলিং ধ’রে দাঁড়িয়ে আছেন, দৃষ্টি যাঁদের ভাবলেশহীন, এ-কথা সম্যক জেনেই,
আমি জাহাজের খোল থেকে উঠে এলাম । যথেষ্ট হয়েছে । বাইরে আসার সময়ে
একজন আরবী ভাষায় আমার কাছ থেকে একটা সিগারেট চাইল । এটা নিয়মবিরুদ্ধ, আমি জানি । কিন্তু, যে মানুষটি ভাতৃত্ববোধের
একটা স্পর্শ, মানবিকতার ক্ষণিক সম্পর্ক চাইছে,তাঁকে এই নিয়ম শোনানো, এই প্রতিক্রিয়া জানানো কি হাস্যকর । আমি কোনও উত্তর দিই না।
যাত্রীদের আগমন
যা দেখতে এসেছিলাম, তার পুরোটা এখনও দেখা হল না, কিন্তু তীব্র বিরাগ জাগ্রত না ক’রে, কী ভাবে নতুন কয়েদীদের আগমনের জন্য অপেক্ষা করব ? দুপুর বারোটায় দেখতে পেলাম দূরে, ‘অ্যাডমিরাল
মূশে’ জেটিতে সৈন্যদল এসে সারি বেঁধে দাঁড়াতে শুরু করছে । বৃষ্টি শুরু হল । কিছুক্ষণের মধ্যে আকাশ পরিষ্কার
হয়ে গেলেও, আবার কালো মেঘ জমছে । হাওয়া আর বৃষ্টি ফিরে এল
।
২:৫৫-তে বাস-বোঝাই কয়েদী ও পুলিশ সরু রাস্তার ধারে এসে নামতে শুরু করল। সাধারণ যাত্রী পরিবহণকারী কয়েকটি সি. এফ. আর. এ. বাস-কে এই কাজে নিয়োগ করা হয়েছে, যা ভাগ্যের পরিহাস বলতে হবে,কারণ, এমন হতেই পারে, অনেক কয়েদী
প্রাত্যহিক যাতায়াতের জন্য অতীতে এই বাসই ব্যবহার করেছে । তখন
অবশ্য বাসের বিভিন্ন স্টপেজ ছিল, যে-স্টপেজগুলোর একটিতে নেমে পড়া সম্ভব ছিল । আজ, স্টপেজ একটাই,
যেখানে ডাঙা শেষ, এবং কয়েক পা এগিয়ে
গেলে জলের যেখানে আরম্ভ, যেখানে বিদায়ী কয়েদীদের
জন্মভূমির শেষ সীমানা ।
সংক্ষিপ্ত
নির্দেশ দেওয়া হল। সময় নষ্ট না ক’রে, রক্ষীরা সব কয়েদীকে একটা ভারবাহী নৌকায় (barge) নিয়ে গিয়ে তুলল। বৃষ্টি থেমেছে, আমাদের
মাথার ওপর প্রকাণ্ড রামধনু। নৌকার ঠিক মধ্যভাগে জড়সড় অবস্থায় ব’সে থাকা ৫৭ জন কয়েদীর সকলেই মাথা
গুঁজে রয়েছে, একজনও মাথা তুলে নেই । মোটা কাপড়ের উর্দি প’রে আছে প্রত্যেকে, মাথা বাঁচানোর জন্য ঢাকা
টেনে নেওয়া হয়েছে , সঙ্গে তাদের সঙ্গে মুখে দড়ি-বাঁধা
মোটা কাপড়ের ব্যাগ । রক্ষীরা তাদের ঘিরে রয়েছে ; মোটর
চালু করতে গাধাবোট-টা প্রথমে থর্থর্ ক’রে কেঁপে উঠল,
তারপর কয়েদী-বোঝাই নৌকা টানতে-টানতে ডক ছেড়ে চ’লে গেল । আবার বৃষ্টি।
যাবার সময়ে মানুষগুলো মাথা নিচু ক’রে বসেছিল । ‘ল্য মার্তিনিয়র’-এর দিকে একজনও তাকিয়ে নেই । নৌকা ধীরে-ধীরে জাহাজের দিকে
এগিয়ে চলেছে আর অঝোর ধারায় বৃষ্টি প’ড়ে চলেছে । ৩:১০-এ নৌকাসহ গাধাবোট জাহাজের পিছনের দিকে পৌঁছল এবং
বন্দুকধারী রক্ষীদের পাহারায় মানুষগুলো একে–একে সিঁড়ি বেয়ে ডেক-এ গিয়ে উঠল । ৩:৩০-এর মধ্যে সব শেষ । বিষণ্ণ জলরাশি
আর বর্ষণস্ফীত আকাশের মাঝে বাঁধা-পড়া জাহাজ এখন সমুদ্রযাত্রার
জন্য প্রস্তুত । ৬:০০, অন্ধকারে, নোঙর, ওজন সমস্ত তুলে নেওয়া হল, জাহাজের আলোকিত খোলে তার মর্মভেদী, লজ্জাজনক
কার্গো । কেন জানি না , আমি সেই মানুষটার কথা ভাবছিলাম,যে আমার কাছ থেকে একটা সিগারেট চেয়েছিল ।
এ-সমস্ত মন্তব্যের মর্মার্থ সম্পর্কে
ভুলবোঝাবুঝি না থাকাই মঙ্গল । সমাজের কিছু সংখ্যক মানুষ এগুলি কীভাবে নেবেন
সে-বিষয়ে আমার কোনও বিভ্রান্তি নেই । তাঁরা বলবেন ওই মানুষগুলো ‘সমাজের তলানি’, এবং সন্দেহ নেই তারা তা-ই(যদিও,আশা রাখি,যাঁরা এইরকম বলেন,তাঁরা সেই ব্যক্তিদের মধ্যে পড়েন না, যাঁরা
ভাবেন যে, সমাজের সম্ভ্রান্ত সম্প্রদায় সেই বৈঠকি
বুদ্ধিজীবীদের দ্বারা গঠিত যাঁরা তলানি সম্প্রদায়ভুক্ত এই মানুষগুলোকে
মূল্যায়ন করবার অধিকার নিজেরাই নিয়ে নিয়েছেন)।
এই কয়েদীদের প্রতি করুণাপ্রদর্শন
জরুরী প্রসঙ্গ নয় । মানুষকে কোনও-এক অমানবিক পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে, এটা চোখে দেখার মতো হীন অবস্থা আর কিছু হতে পারে না
। এই আবেগ পৌঁছে দেওয়াই বর্তমান রচনার একমাত্র লক্ষ্য ।
যেমন ধরুন, কত ভাল হত, ডক-এর ধারে সম্ভ্রান্ত মহিলাদের কৌতূহলী জটলা যদি আমায় দেখতে না হত । সঙ্কোচের সঙ্গে তাঁদের আমায় মনে করিয়ে দিতে
হচ্ছে যে, তাঁদের অদম্য কৌতূহল তাঁদের ন্যূনতম সৌজন্যবোধও হরণ করেছে ।
এই মানুষগুলো সম্পর্কে রায় ঘোষণা আমাদের কাজ নয়। অন্যরা,
আমাদের জন্য সেই কাজ ইতিমধ্যে ক’রেই ব’সে আছেন। কয়েদীদের করুণা করাও আমাদের দায় নয় , কারণ তা খুবই বালখিল্য কাজ হবে । মানুষের তালিকা থেকে নাম কাটা-যাওয়া
এই আভাগা কয়েদীদের পরিণতির বিবরণ তুলে ধরাই, এই রচনার
একমাত্র লক্ষ্য । আশু প্রতিকারও নেই এ-পরিণতির, সেইজন্যই
বোধকরি, তা এতটা বীভৎস ।
Source: Appendix of ‘Algerian
Chronicles’ translated by Arthur Goldhammer , Harvard University Press, 2014.
Originally published Chroniques
algeriennes 1939-1958.
No comments:
Post a Comment