Sunday, October 14, 2018

জালালুদ্দিন রুমি ( অনুবাদ- চৈতালী চট্টোপাধ্যায়)





১২০৭-১২৭৩, জালালুদ্দিন রুমির জীবনকাল। ৩০ সেপ্টেম্বর বালখ-এ তাঁর জন্ম, এখন যা আফগানিস্তান, তখন তা পারস্য সাম্রাজ্যের মধ্যে ছিল। ক্রিস্টালের মতো তাঁর এই রুবায়ৎগুলি। বিভিন্ন কোন থেকে দেখলে, রামধনু রঙ রহস্য, আধ্যাত্মিকতা, প্রেম, নিজের মধ্যে ডুব-দেয়া মগ্নতা, সব, চোখ ধাঁধিয়ে দেয়।


রুবাইয়াৎ নং-১৫২১

বয়ে-চলা নদীর মতন,
ভেসে-যাওয়া দুঃখের মতো
আমার অতীত-জল দূরে সরে যাবে,
ভালোই হবে!
কাল যে-গল্প ছিল, তো, কাল শেষ হয়ে গেছে,
আজ নতুন শস্যের মাঠ...


রুবাইয়াৎ নং-২৪৭

মাটিতে যখন ঠেকিয়েছি মাথা,
তোমাকে ছুঁয়েছি।
আর সবই, এই বাগান-বিলাস,
ফুল-লতা-পাতা, পাখিদের শিস
কিছু নয়, শুধু অজুহাত বুনে,
তোমাকে দেখেছি

রুবাইয়াৎ নং-১১১

রাত্রি। সে এল। মিলন ঘনাল।
সারারাত বিরহবেদনা ঝরে যাক।
এখন সঙ্গে শুধু নাচ, ঘুরপাক...
মনকে বলেছি, ভেবো না--
সকাল হওয়ার চাবি দিয়েছি ফেলে,
আর কখনও পাব না

রুবাইয়াৎ নং-১৯৯৩

একটি চুমুর প্রার্থনা!
আর, চুম্বনে-চুম্বনে ভরিয়ে দিলে।
এত বাড়াবাড়ি তুমি কোথায় শিখলে হে?
উদারতা, উপচোনো দয়া মেখে,
আহ! নিশ্চয়ই নেমেছ অন্য গ্রহ থেকে

রুবাইয়াৎ নং-১৪

শুরুতেই অনন্ত আদরে
ও আমাকে বশ করে নিল।
শেষে, পুড়ে গেছি।
বিষাদে ও ব্যথায় জ্বলছি।
যদি ভাবি, এটা দাবা খেলা।
এই হেরে-যাওয়া তবে
শুধু ছলাকলা!

রুবাইয়াৎ নং-৬১

স্বর্গ কি মুগ্ধ করেছিল? মনে নেই!
ভালোবাসা হাতছানি দিয়ে নীচে নিয়ে এল।
হাজারও সম্মোহন, গীত-বাদ্য অমরাবতীর,
ওকে টানল না--
সে মেয়ে মাটিতে বসে, প্রেমের বাস্তবতা হাত পেতে নিল







No comments:

Post a Comment

একঝলকে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে